যশোরের চাঁচড়ায় ভুল চিকিৎসায় সোহেল নামে এক যুবকের জীবন সঙ্কটাপন্ন করার অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক গৌতম মন্ডলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার(৬ ফেব্রুয়ারি) শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার শহিদ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামি গৌতম মল্লিক চাঁচড়ার গণেশ মন্ডলের ছেলে ও বড়বাজার মোড়ের জনতা ব্যাংকের সামনের আদ্রিকা মেডিকেলের জেনারেল প্রাকটিশনার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শহরের ডালমিল এলাকার শহিদের ছেলে সোহেল জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত ২৩ জানুয়ারি তিনি ছেলের জন্য ওষুধ কিনতে আদ্রিকা মেডিকেলে যান। ওইসময় গৌতম মন্ডল নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সোহেলকে দেখতে যান। শিশুটিকে দেখে শুনে প্রেসক্রিপশন করে নিজের দোকান থেকে ওষুধ দিয়ে তিন দিন খেতে বলেন। এদিন বিকেলে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খেলে সোহেলের পেটে তীব্র ব্যথা ও রাতে কয়েকবার বমি হয়। ২৫ জানুয়ারি সোহেলের অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে শহরের একটি ক্লিনিকে ডাক্তার দেখানো হয়। পরীক্ষা করে সোহেলের পেটের নাড়ি ছিদ্র পাওয়ায় দ্রুত অপারেশন করা হয়। আসামি গৌতম মন্ডল এমবিবিএস চিকিৎসক না হয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রেসক্রিপশন করে রোগীর চিকিৎসা চালিয়ে জীবন সঙ্কটাপন্ন করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই