জমিজমা সংক্রান্ত গোলযোগের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় যশোরের চাঁদপাড়ায় একই পরিবারের তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। ২৫ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
হামলায় জখম তিন জন হচ্ছেন, সদর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মোল্লা (৬০), তার ছেলে শিমুল হোসেন মোল্লা (৩৫) ও রমজান আলী (২৬)। একই সাথে আব্দুল লতিফ মোল্লার স্ত্রী আমেনা বেগমকেও মারপিট ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
গ্রামবাসী ও থানা সূত্র জানিয়েছে, চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মোল্লা ও একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার গং এর মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন গোলযোগ চলছিল। এ নিয়ে ২৪ জুলাই বিকেলে প্রথম দফা এবং ২৫ জুলাই সকালে দ্বিতীয় দফায় গোলযোগ হয়। মঙ্গলবার সকালে ওই আসামিপক্ষ স্থানীয় মহুরী মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে আব্দুল লতিফ পরিবারের উপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা হলেন আব্দুস সাত্তার, তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন, সাব্বির, শাকিল, আব্দুল হক ও মেয়ে রেখা। মারপিটের পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আব্দুল লতিফ মোল্লা ও তার ছেলে শিমুল হোসেন। সকাল দশটার দিকে তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ৯৯৯ এ কল দেয়ার পর থানার এসআই মিজানুর রহমান ও এস আই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলামকে অবহিত করলে এসআই আক্তারুজ্জামান হাসপাতাল যান। তিনি আহতদের সাথে এবং পরিবারের সদস্য রমজানের সাথে কথা বলেন। এরপর অভিযান চালিয়ে হত্যা চেষ্টাকারী আব্দুস সাত্তার ও তার ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেন। এ ঘটনায় চাঁদপাড়া গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশের তিন টিম এলাকায় নজরদারি করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকার আলোচিত মাদক কারবারী মিজানুর রহমান মহুরীর উস্কানিতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি আব্দুস সাত্তারের ভাড়াটিয়া হিসেবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রমজান আলী জানিয়েছেন, তার বাবা আব্দুস সাত্তার ও ভাই শিমুলের অবস্থা ভালো নয়। হামলার শিকার হয়েছেন তার মা আমেনা বেগম। বাড়িতে ইট কেনার এক লাখ টাকা ও ৮০ হাজার টাকার মধ্যে দুটো মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, হামলায় জড়িত আব্দুস সাত্তার চক্রের বিরুদ্ধে থানায় এর আগেও কয়েকটি অভিযোগ এবং জিডি রয়েছে। ২৪ জুলাই বিকেলের হট্টগোল ও ২৫ জুলাই সকালের হামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করেছে। পলাতকদের খোঁজা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খুলনা গেজেট/এনএম