যশোরে দুই ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আহতরা হলেন, নরেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে বড় ভাই মাসুদ খন্দকার ও ছোট ভাই মাহমুদুর খন্দকার।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার রূপদিয়ার জিরাট গ্রামে তাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বড় ভাই মাসুদ খন্দকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
আহত ছোট ভাই মাহমুদুর খন্দকার জানান, তারা দুই ভাই রুপদিয়া বাজারে অবস্থিত মাসুদ গার্মেন্টস বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলে রওনা দেন। জিরাট গ্রামের ফুড গোডাউনের সামনে পৌছানো মাত্রই ৫/৬ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পাশের কবরস্থান থেকে বের হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তারা প্রথমেই বড় ভাই মাছুদের মাথায় কোপ মারে। এসময় তিনি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তাকেও কোপানো হয়। পরে আবারও বড় ভাইকে একাধিক কোপ মারা হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীদের সাথে ওই এলাকার সুমনকে তিনি চিনতে পেরেছেন।
আহতের স্বজনরা জানান, রুপদিয়ার শাওন প্লাজা ও ইমন ব্রিকসের মালিক গোলাম হোসেনের কাছে টাকা পেতেন মাসুদ খন্দকার। শাওন প্লাজায় মাসুদ দোকান ভাড়া নেন ও পরে তা ছেড়ে দেন। কিন্তু অগ্রীম নেয়া টাকা ফেরত না দিয়ে নানা ধরনের তালবাহানা করেন গোলাম। শুক্রবার ওই টাকা ফেরত আনতে যায় মাসুদ। এসময় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয়। এরপর গোলামের ম্যানেজার সুমনের নেতৃত্বে রাতে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন দুই ভাই।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শাহীনুর রহমান সোহাগ জানান, মাসুদের কপালে, নাকে ও ঘাড়ে একাধিক কোপের আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। তবে ছোট ভাই আশঙ্কামুক্ত।
কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছে, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।