যশোরের বকচরে অভিনব স্টাইলে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এসিড পুশ করে জহির হাসানকে হত্যায় সহযোগিতা করার দায় স্বীকার করে আদলতে জবানবন্দি দিয়েছে শেফালী বেগমের প্রেমিক রবিউল ইসলাম। রিমান্ড শেষে সোমবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে জবানবন্দি গ্রহণের পর জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল।
আটক রবিউল ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের আব্দুল সরদারের ছেলে। নিহত জহির হাসান গাজী (৩৮) শহরের বকচর হুশতলার মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে।
আদালতে স্বীকারোক্তিতে রবিউল ইসলাম জানিয়েছে, দেড় বছর আগে থেকে জহির হাসানের স্ত্রী শেফালী বেগমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি পরে জহির হাসান জানতে পেরে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। আর সে কারণেই শেফালী বেগমকে শহরের ঘোপ এলাকার আব্দুল জলিলের বাড়ি ভাড়া করে রবিউল ইসলামের সাথে সংসার করছিল। আবার জহিরকেও তালাক না দিয়ে মাঝে মধ্যে শেফালী বেগম সেখানেও যেতেন। এ নিয়ে তাদের পারিবারিক গোলযোগ বেড়ে যায়। ফলে জহিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে রবিউল ও শেফালী। তবে শেফালী একটি হাসপাতালে কাজ করায় ইঞ্জেকশনের সাথে এসিড পুশ করে হত্যাকান্ডটি নিশ্চিত করতে হবে বলে দু’জনের সিদ্ধান্ত হয়। এ ঘটনার এক মাস আগে ব্যাটারির এসিড শেফালীর কাছে দেয় রবিউল। আর শেফালী হাসপাতাল থেকে সিরিঞ্জ নিয়ে আসে। ঘটনার দিন গত ৯ মে দুপুর আড়াইটার দিকে জহিরকে পানিতে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ সেবন করায় শেফালী। ঘুমের ওষুধে অচেতন হয়ে পড়লে জহিরকে হাতের শিরায় সিরিঞ্জ দিয়ে এসিড পুশ করে শেফালী। এই ভাবে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা দু’জন।
১০ মে ঘটনার পরদিন ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শেফালী বেগম ও রবিউল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। এরপর রবিউল ইসলামকে একদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে সোমবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে রবিউল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/এনএম