যশোর শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে সোলাইমান (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি ওই এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। এ সময় জসিম হোসেন (৩০) নামে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত জসিম জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় টিবি ক্লিনিকের ভেতর মাদক সেবন করতে আসে ওই এলাকার আরাফাত, মেহেদি, জনি, সিরাজুল ও সুজন। সেখানে দায়িত্বরত নাইট গার্ড সোহাগ তাদের নিষেধ করলে আরাফাতের সাথে তার বিরোধ হয়। এ ঘটনায় আরাফাত ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মেহেদি, জনি, সিরাজুল, সুজনসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৮/৯ জন সোহাগকে মারপিট করতে টিবি ক্লিনিক এলাকায় যায়। তারা সোহাগকে না পেয়ে তার বন্ধু জসিমকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় সোলাইমান তাদের বাধা দিতে এলে হামলাকারীরা তাকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান সোলাইমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাক্তার সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, দু’জনের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই সোলাইমানের মৃত্যু হয়। জসিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, জসিম পুলিশের সোর্স। কিছুদিন আগে তিনি একই এলাকার আরাফাত ও মেহেদিকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তারা জসিমের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এরই জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জড়িতদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। তারা হত্যার কারণ ও খূনীদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ