যশোরে লেদ মিস্ত্রি বাচ্চু গাজী ছিল ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। ছিনতাই করতে গিয়ে নিজ অস্ত্রের আঘাতেই খুন হয় বাচ্চু। আর এ আঘাত করে রিকশাচালক সুমন। পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটকের পর আদালতে এসব তথ্য জানিয়েছেন সুমন। সে শহরের পূর্ববারান্দি মাঠপাড়ার লাল মিয়া ওরফে লালুর ছেলে। বুধবার রাতে সুমনের ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর সুমনকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) আদালতে হাজির করা হলে জানায়, ঘটনার দিন রাতে বাচ্চুসহ তিনজন তার রিকশা ভাড়া করে খোলাডাঙ্গা এলাকায় নিয়ে যায়। অনেক রাত হওয়ায় সুমন খোলাডাঙ্গা সার গোডাউনের সামনে পৌঁছানোর পর আর যাবেন না বলে জানান। এতে করে বাচ্চুসহ তিনজনই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এসময় একজন তার রিকশা ছিনিয়ে নেয়। আরেকজন ধস্তাধস্তি করে ও বাচ্চু তাকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা চালায়। রিকশাচালক সুমনের হাতে ছুরির আঘাত লাগে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে নিজের জীবন বাঁচাতে সুমন বাচ্চুর হাতে থাকা ছুরি ছিনিয়ে নিয়ে পাল্টা বাচ্চুকেই আঘাত করে। এরপর লুটিয়ে পড়ে বাচ্চু। পরে আরও কয়েকটি আঘাত করেন সুমন। এসময় বাচ্চুর সাথে থাকা অপরজন সটকে পড়ে। পরে সুমন পালিয়ে যায়। বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুরাতন কসবা ফাঁড়ির ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ সকালে সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা মুন্সিপাড়ার একটি ধান ক্ষেত থেকে পুলিশ বাচ্চু গাজীর লাশ উদ্ধার করে। সে সদর উপজেলার সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের রবিউল গাজীর ছেলে ও মোবারককাটি দিঘিরপাড় এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতো। বাচ্চু গাজী মণিরামপুর থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহত বাচ্চু ছিল ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। ওইরাতে ছিনতাই কাজে বাচ্চুসহ তিনজন বের হয়। তাদের নাম আটক সুমন জানিয়েছে। বাকি দু’জনের আটকের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। এই দু’জনের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই