যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজারে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণধোলাইয়ে রবিউল ইসলাম নিহতের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি।
এদিকে মৃত রবিউলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বাদি হচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আছালত মোল্লার ছেলে মালেক মোল্লা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে তিনি থানায় এ মামলাটি করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, তিনি নতুন একটি ইজিবাইক কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে ওইদিন দুপুর সাড়ে তিনটার সময় চুড়ামনকাটি বাজারে পৌঁছালে ইজিবাইক দাঁড় করান রবিউল ইসলাম। পুলিশ পরিচয় দিয়ে রবিউল তার কাছে পাঁচশ’ টাকা দাবি করেন। তখন তিনি লোকজন ডাক দিলে রবিউল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর সন্ধ্যায় তিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যান।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, রবিউল হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। এছাড়া রবিউলের মৃত্যুর আগেই এ মামলা রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে চুড়ামনকাটি বাজার থেকে শহরের পালবাড়ি পাওয়ার হাউজপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে রবিউল ইসলামকে পুলিশ চুড়ামনকাটি বাজার থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
পরে সন্ধ্যা ৬ টা ২৫ মিনিটে দ্বিতীয় দফা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের সদস্যদের হাতে নিহত রবিউলের লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে অজ্ঞাত কারণে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
খুলনা গেজেট/ এস আই