যশোরের চুড়ামনকাটির কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলো, সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শাখারিগাতী গ্রামের মাজেদ মোল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই সোলায়মান আক্কাস আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।নিহত গোলাম মোস্তফা (৫০) চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের পাচুু মন্ডলের ছেলে।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর সকালে যশোর সদরের চুড়ামনকাটি গ্রামের ঘোনা রোড এলাকায় ভৈরব নদ থেকে মোস্তফার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম অজ্ঞাতদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সৌমেন দাশের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে চুড়ামনকাটি থেকে কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করেন। এরপর তার দেয়া তথ্য মতে, যশোর শহরের মুড়লি মোড় থেকে তার সহযোগী সহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তারা আদালতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার সাথে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে তাকে খুন করার পরিকল্পনা করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি তার বন্ধু পরিবহন শ্রমিক সহিদুল ইসলামকে ম্যানেজ করেন। ঘটনার দিন মামুন মোবাইল ফোনে গোলাম মোস্তফাকে জানান, বড় একজন কাঠ ব্যবসায়ী এসেছেন। তার সঙ্গে যেন সন্ধ্যায় দেখা করেন। এরপর সন্ধ্যায় তারা তিনজন একটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তারা ফেনসিডিল ও গাঁজা সেবন করেন। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন তার সহযোগী সহিদুল ইসলামের সহায়তায় ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর মোস্তফার মরদেহ ভৈরব নদে ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দিয়ে চলে যায়।
খুলনা গেজেট/এমএস