যশোর শহরের কারবালা পুকুর পাড়ে কলেজ ছাত্র রাকিবুল ইসলাম (২১) হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন নিহতের মা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর কালনা গ্রামের আনিসুর রহমান মনা মিয়ার স্ত্রী রুপালী বেগম।
বাদির ছেলে নিহত রাকিবুল ইসলাম শহরের ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ২য় বর্ষের ছাল ছিলো। সে খড়কীর মিলন তাহনান ছাত্রাবাসে ৪র্থ তলায় থেকে পড়াশুনা করতো। চতুর্থতলায় রাজু, নুর আলম, সাজ্জাদ হোসেন, নুরুল আহাদ, রিয়াদ, কামরুল আলমসহ আসামীরা একসাথে থাকতো।
গত ৫ জানুয়ারি রাত ১১টায় গ্রামের আব্দুল জলিল মোলার কাছে ফোন করে মিলন তাহনান ছাত্রাবাস থেকে রাজু ফোন করে জানায়, রাকিবুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ্য এবং তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। বাদি হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ দেখতে পান। কী কারণে ছেলের মৃত্যুর হয়েছে সেটা কেউ জানাতে পারেনি। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। পরবর্তীতে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে আসে আঘাত জনিত কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি কোতোয়ালি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ মামলা নিয়ে গড়িমসি করে। পরে তিনি আদালতে এজাহার দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।