খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  চার উপদেষ্টার আশ্বাসে ভোর ৪টায় হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা

যশোরে এসিআই কোম্পানি অফিসে ডাকাতি, ১৫/২০ লাখ টাকা লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে এসিআই কোম্পানির ডিপো অফিসে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা নাইটগার্ডের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হাত-মুখ ও পা বেধে প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত আড়ায়টার দিকে শহরতলীর শেখহাটি মোড়ে।

ডাকাতদলের সদস্যরা একাধিক ক্যাশবাক্সের তালা ভেঙে নগদ টাকা লুট করে। এছাড়া সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে।

শনিবার রাতে এসিআই কোম্পানীর ডিপো অফিসে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ড সোহেল রানা ও সজিব কুমার জানান, এদিন রাত আড়াইটার দিকে ৮/১০ জনের ডাকাতদল একসাথে পাচিল টপকে অফিসে হঠাৎ ঢুকে পড়ে। এরপর পিস্তল ও চাপাতি নিয়ে তাদের ঘিরে ফেলে। তাদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে চুপ থাকতে বলে। পরে তাদের হাত, মুখ ও পাঁ বেধে ফেলে ডাকাতরা। এরপর নিচতলার বাথরুমের পাশে ফেলে রাখে। তারা সকলেই কালো রঙের প্যান্ট শার্ট ও মুখে মাস্ক পরা ছিলো। এছাড়া সকলেই ছিলো খালি পায়ে।

ওই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ডিপো ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভবনের এক ও দুইতলায় তাদের অফিস। সেখানে টাকা ও মালামাল থাকে। শনিবার রাতে সকলেই ঠিকঠাকভাবে অফিস বন্ধ করে চলে যান। সকালে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে জানতে পারেন ডাকাতির ঘটনা। অফিসে এসে দেখেন বিভিন্ন ক্যাশবক্স ভাঙা। তারা নগদ ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া তিনি বলেন অনেক ওষুধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দামি কিছু ওষুধ তারা নিয়ে গেছে। তবে স্টক মেলানো হলে বুঝা যাবে।

এদিকে, খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান (ক সার্কেল), কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, একতলা ও দুইতলার সব সিসি ক্যামেরা নষ্ট করেছে এবং ডিভিআরও নিয়ে গেছে ডাকাত দলের সদস্যরা। তিনতলার একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের ক্যামেরা থেকে কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে ঘটনার বেশ কিছু চিত্র উঠে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, গামছা, ভাঙ্গা তালাসহ বিভিন্ন আলামতও তারা সংগ্রহ করেছেন। সার্বিক বিষয় নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছেন। জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে বলে তিনি জানান।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!