যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে আটজনসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তিনি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, কাজীপাড়ার মৃত আব্দুল কাদের চাকলাদারের ছেলে তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, লোন অফিসপাড়ার মৃত ফারাজী শাহাদত হোসেনের ছেলে আশিকুল ইসলাম বাধন, কাজীপাড়া তেতুলতলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রওশন ইকবাল শাহী, কাঠালতলার আমজাদ হোসেন পাকা মিয়ার ছেলে বাবুল, রেলগেট তেতুলতলার মৃত ফখরে আলমের ছেলে ফাহমিদ হুদা বিজয়, কাঠালতলা বটতলা এলাকার তৌফিক সরকার তকুর ছেলে তাপস, কাজীপাড়া মানিকতলার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নুরনবী ও কাজীপাড়ার কুটি শেখের ছেলে মেহেদি হাসান রনি।
এদিকে, পুলিশ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় কাঠালতলা ব্রিজ এলাকা থেকে এ মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামি বাবুল, তাপস ও নূরনবীকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী। এরপর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামির পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন জানালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম তিনজনেরই জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মাহাবুব সরকার লাল্টু। তিনি দাবি করেন, তার মক্কেলদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে। যা তিনি আদালতকে অবহিত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে আসামিদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিদের সাথে তার রাজনৈতিক পূর্ব বিরোধ ছিলো। এছাড়া আাসমিরা নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। এসব কর্মকান্ডের বিরোধিতা করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয় আসামিরা। এরই জের ধরে গত ২৬ জুন রাত আড়াইটায় আসামিরা দুটি গাড়িতে তার বাড়ির সামনে যায়। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় ফরিদ বাইরে বের হলে আসামিরা তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছু সময় পর ফের ওই দুটি গাড়ি এসে একইভাবে হুমকি দিয়ে যায়।
খুলনা গেজেট / আ হ আ