যশোর জেনারেল হাসপাতলে ডেলিভারির সময় নবজাতকের মাথা ছিড়ে ফেলার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান হলেন, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার রহিম মোড়ল, সদস্য সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার রবিউল ইসলাম, উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক ফেরদৌসী বেগম ও সদস্য সচিব হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আরিফ আহমেদ।
রোববার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে শার্শা উপজেলার বেনাপোল গাজীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আন্না বেগম (২৮) টয়লেটে পড়ে যান। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মধ্যরাতে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গাইনি বিভাগের ডাক্তার রোগী দেখে জানান, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাকে অপারেশন করতে হবে। এরপর শনিবার সকালে ডাক্তার তাকে আল্ট্রাসনো করান। এ সময় ডাক্তার জানান, রোগীর গর্ভের ২০ সপ্তাহের সন্তান মারা গেছে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবিকা তাকে গর্ভপাতের ওষুধ দেন। শনিবার রাত ৭টার দিকে সন্তানের পা বেরিয়ে আসে। এ সময় আন্নার স্বজনরা ডাক্তার, নার্সদের ডেকেও পাননি। পরে ওয়ার্ডের আয়া মোমেনা নিজেই সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সন্তানের দেহ বেরিয়ে আসলেও ছিন্ন মস্তক রয়ে যায় প্রসূতির গর্ভে। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা হৈচৈ শুরু করলে সেবিকা, আয়া সবাই ওয়ার্ড ছেড়ে পালিয়ে যান।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আরিফ আহমেদ জানান, শনিবার ওই আয়াকে ওয়ার্ড থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত কাউকে না জানিয়ে আয়া নিজেই ওই বাচ্চাটি বের করার চেষ্টা করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আয়ার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম