যশোর ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে ফ্যান খুলে পড়ে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। ভাগ্যক্রমে ফ্যানটি তার মাথার পাস ঘেঁষে পড়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন মারছিয়া (১৯) নামে ওই ছাত্রী। কলেজের টেস্ট পরীক্ষা চলাকালে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহেতের স্বামীর অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজী হননি কলেজটির অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
বুধবার (৩১ মে) ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে বিভিন্ন বিভাগের টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কমার্স সেকেন্ডারি পরীক্ষা চলাকালে মারছিয়া (১৯) নামে এক পরীক্ষার্থীর মাথার পাসঘেঁষে ওপরের চলন্ত ফ্যানটি খুলে পড়ে। এতে ওই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। দ্রুতই কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানিয়েছেন তিনি শঙ্কামুক্ত।
আহতের স্বামী শহরের বেজপাড়ার সাহাদ হোসেন অভিযোগে করে বলেন, পরীক্ষার হলরুমে ফ্যানটি নড়বড় করছিল। গত ৩দিন আগে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটলো। মারছিয়ার সহপাঠীরা জানান, ভাগ্যক্রমে ফ্যানটি সরাসরি মারছিয়ার মাথার ওপর পড়েনি। ঘাঁড়ের পাস দিয়ে গেছে। ভাগ্য সহায় হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গেছে আহত মারছিয়া। এ নিয়ে সহপাঠিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেনসহ শিক্ষক কর্মচারীরা মন্তব্য করতে রাজী হননি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড