ট্যাকসেস বার এসোসিয়েশন যশোরের দ্বি-বাষিক নির্বাচনে চিরন্তন-সবুজ প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। শীর্ষ সাতটি পদের মধ্যে ছয়টি তারা দখলে রেখেছেন। সভাপতি পদে চিরন্তন মল্লিক ৫৬ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিএম আলমগীর সিদ্দিকী সবুজ ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী শেখ তাজ হোসেন পেয়েছেন ৪৯ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে বোরহান উদ্দীন সিদ্দিকি পেয়েছেন ৪৩ ভোট। ১৫টি পদের মধ্যে তারা জয়ী হয়েছেন ১৩ পদে। অন্যদিকে তাজু-বোরহান প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন তিনজন। সদস্য পদে দু’জনের সমান সংখ্যক ভোট হওয়ায় দু’জনকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া, সহসভাপতি পদে আল ইসলাম ৫২ ও গোপীনাথ রায় চৌধুরী ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী সাদাত হাসান শাহারিয়ার ৪৯ ও জান্নাতুল ফেরদৌস পেয়েছেন ৫০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এম আরিফুর রহমান পেয়েছেন ৪ ভোট। সহসাধারণ সম্পাদক পদে ইসতিয়াক আহমেদ ৫৯ ও আব্দুল হালিম ৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রবীর চক্রবর্তী ৪৪ ও রফিকুজ্জামান সজিব পেয়েছেন ৪১ ভোট। অর্থসম্পাদক পদে ৫৩ ভোট পেয়ে আমিরুল ইসলাম তন্ময় নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইফতেখার আলম রিপন পেয়েছেন ৪৮ ভোট। এছাড়া সদস্য আট পদের মধ্যে তারিক এনাম ৬৫, শাহাজাহান আলী বিশ্বাস ৫৮, ফাহিম রাজ ৫৮, জামাল হোসেন শিমুল ৫৭, শফিকুল ইসলাম ৫৫, আশরাফুল আলম ৫৩, শাহানাজ সুলতানা রিনা ৫৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
সদস্য আরেকটি পদে আবুল কালাম ও জাহিদুর রহমান জুয়েল দু’জনেই ৫১ ভোট পেয়েছেন। এ কারণে নির্বাচন কমিশন দু’জনকেই বিজয়ী ঘোষনা করেছেন। তাদের মধ্যে আবুল কালাম ১ম বছর ও জুয়েল ২য় বছর কমিটিতে দায়িত্ব পালন করবেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক বলেন, শান্তিপূর্নভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০৮ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তাদের মধ্যে ভোট প্রদানে ক্রটি থাকায় দু’জনের ব্যালট বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর ১২ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ট্যাকসেস বার এসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে ৩১ প্রার্থী অংশ নেন। অংশ নেয়া দুটি প্যানেলের মধ্যে চিরন্তন-সবুজ প্যানেলের প্রার্থীরা ১৩ পদে ও তাজ-বোরহান প্যানেলের প্রার্থীরা তিনটি পদে জয়লাভ করেন।