যশোরের সহকারী জজ (কেশবপুর) আদালতের ভবনে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নাজনীন সুলতানার কম্পিউটারের সিপিইউসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে। শনিবার গভীর রাতে আদালত কক্ষের দরজার তালার নাটবল্টু খুলে এ চুরি হয়। আদালত সংশ্লিষ্টরা চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কাজ শেষে কেশবপুর সহকারী জজ আদালতের কক্ষ তালাবদ্ধ করে চলে যান পেশকার মনিরুজ্জামানসহ অন্যরা। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পেশকার রবিবার ও আগামীকাল সোমবার ছুটি নেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত পেশকার হিসেবে দায়িত্ব পান শরিফুল আলম। রোববার সকালে তিনি আদালতে এসে দরজা খোলা দেখতে পান। এ সময় আদালত কক্ষে কেউ ছিল না। পিয়নকে ডেকে আনলে জানায় সে তালা খোলেনি। এরপর বিষয়টি আদালতের বিচারক নাজনিন সুলতানাকে অবহিত করা হয়। পরে বিচারক বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশের দুই জন উপ-পরিদর্শক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পেশকার শরিফুল আলম জানান, তিনি সকালে এসে আদালতের দরজা খোলা দেখতে পান। দরজার তালা লাগানো ছিল। তবে তালা লাগানোর হ্যাসবোল্টের নাট বল্টু খোলা ছিল। তিনি এই এজলাসে নতুন ফলে কি কি খোয়া গেছে তা তিনি বলতে পারছে না। পুলিশ কর্মকর্তারা এসেছিলেন তারা বিচারকের সাথে কথা বলে গেছেন।
এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নাজির বাবর আলী জানান, বিচারকের কম্পিউটারের একটি সিপিইউ চুরি হয়েছে। এছাড়া কোন কাগজপত্র চুরি হয়েছে কিনা সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা মামলা করবো। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে