যশোরে চেক ডিজঅনার মামলার আসামিকে খালাস করিয়ে দেয়ার কথা বলে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুরের বিরুদ্ধে। গত ২ নভেম্বর যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে লিখিত এ অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম। অভিযোগকারী মিনু বেগম মণিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, মিনুর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে মণিরামপুর আমলি আদালতে ব্যাংকের একটি চেক ডিজঅনারের অভিযোগে মামলা হয়। যার নং- সিআর ৩৩০/১৭। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা যুগ্ম জজ দ্বিতীয় আদালতে বদলি হয়। যার এসসি নং-১৪৯৩/১৯। ওই মামলা থেকে মিনুকে খালাস করে দেবে বলে আইনজীবী এম এ গফুর তার কাছ থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এসময় অ্যাড. গফুর তাকে বলেন, ওই মামলা থেকে তাকে খালাস করাতে না পারলে গ্রহণকৃত সব টাকা ফেরত দেয়া হবে। পরবর্তীতে ওই মামলায় চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে চেকের চার লাখ ১০ হাজার টাকা বাদীকে ফেরত দেয়া ও মিনুকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। এরপর মিনু ওই মামলায় অন্য একজন আইনজীবীর দারস্থ হন। ওই আইনজীবী আপিল করে বাদীর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে মামলা থেকে খালাস পান মিনু। পরে তিনি আইনজীবী গফুরের কাছে গিয়ে তার দেয়া এক লাখ ৪০ হাজার টাকা ফেরত চান। কিন্তু অ্যাড. গফুর এ টাকা ফেরত না দিয়ে তাকে আজ না কাল বলে ঘোরাতে থাকেন। ফলে বাধ্য হয়ে মিনু যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে গত ২ নভেম্বর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অভিযোগটি ভিত্তিহীন এবং মিনু বেগমকে তিনি
চেনেন না বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ সংশ্লিষ্ট একটি অভিযোগ সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/এএ