যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এখনও এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের শিডিউল করেনি। তবে ওজোপাডিকো কর্তৃপক্ষ বুধবার এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে শহরময় লোডশেডিং চালিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে শহরে এক ঘণ্টা করে দিনে সর্বোচ্চ দু’বার লোডশেডিংয়ের উদ্যোগে নিয়েছে বিতরণ সংস্থা ওজোপাডিকো। এ কারণে শহরের চার্জার লাইট ও ফ্যানের দোকানে মানুষের ভিড় বেড়েছে।
ওজোপাডিকো যশোরের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, যশোর শহরে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৫৫ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ মেগাওয়াট। এ জন্যে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের শিডিউল করা হয়েছে। যা বুধবার থেকে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সাময়িক এ সমস্যার জন্য তিনি শহরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
বুধবার যশোর বিদ্যুৎ বিভাগের সিডিউল অনুযায়ী শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় লোডশেডিং চলেছে। যা একঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ দু’ঘন্টা পর্যন্ত। এতে শহরের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে। এ কারণে যশোর শহরে বৈদ্যুতিক চার্জার লাইট ও ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। মানুষ ইলেক্ট্রনিক্স দোকানগুলোতে এসব পণ্য কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। দীর্ঘদিন পর যশোরাঞ্চলের মানুষ বিদ্যুতের মানুষ কষ্ট পেয়ে প্রতিকারে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ দাবি করেছে।
এদিকে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি যশোরের জেনারেল ম্যানেজার আবু বকর শিবলী জানিয়েছেন, যশোর শহর ছাড়া পুরো জেলায় তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। জেলায় তাদের মোট বিদ্যুতের চাহিদা ২০৫ মেগাওয়াট। বুধবার ৩০ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকলেও মঙ্গলবার তাদের কোনো ঘাটতি ছিল না। যে কারণে এখনও এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের শিডিউল করা হয়নি। তবে সরবরাহ কম পেলে প্রয়োজন অনুযায়ী লোডশেডিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের প্রথম দিনে ওজোপাডিকোর আওতায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং চলে। আর পল্লী বিদ্যুতের আওতায় গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় দিনের বেলায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ