যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক অধ্যাপকের প্রাইভেটকার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথে শাখা ছাত্রলীগের মিছিলের মধ্যে গাড়ির পিছনের গ্লাস ভাঙচুর করা হয় বলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের অভিযোগ। ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুব্রত মন্ডল।
সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মিছিল চলাকালে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম রায়হান রহমান রাব্বী। তিনি যবিপ্রবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনসহ মারামারির ঘটনায় রাব্বিকে পূর্বে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিষ্কার করেছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে প্রক্টরের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষক।
অধ্যাপক ড. সুব্রত মন্ডল বলেন, সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের উদ্দেশে আমিসহ আরও দুই শিক্ষক আমার প্রাইভেটকারে করে যাচ্ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের মিছিলের মধ্য থেকে আমার গাড়ির ওপর আঘাতের শব্দ পাই। গাড়ি থামিয়ে দেখি গাড়ির পেছনের গ্লাস ভাঙা। যেভাবে গাড়ির গ্লাস ভেঙেছে, সেটা উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগকর্মী রায়হান রাব্বি জড়িত। প্রক্টরকে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি।
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, স্যারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়নি। নির্বাচন পরবর্তী ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল ছিল। মিছিলের সময়ে স্যারের গাড়ি যাচ্ছিল। ওই সময় রাব্বি নামে আমাদের এক কর্মী সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। মিছিল আর গাড়ি এক সঙ্গে যাওয়ার কারণে রাব্বি গাড়ির পেছনের কাঁচের ওপর পড়ে যায়। এতে তার হাতের কনুই পড়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে যেতে পারে। কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে গাড়ি ভাঙচুর করেনি।
যবিপ্রবি প্রক্টর ড. হাসান মো. আল-ইমরান বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষক আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী রাব্বির মোবাইল ফোন বন্ধ থাকাতে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
খুলনা গেজেট/ টিএ