চেনা উইকেটে ভালো শুরু পেয়েও বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত স্বর্ণার ব্যাটে লড়াই করার পুঁজি পায় জ্যোতির দল। এরপর বোলিংয়েও সাদা-মাটা বাংলাদেশ। তাতে ৭ উইকেট বড় জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ভারত নারী দল।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। যেখানে সর্বোচ্চ ২৮ রান এসেছে স্বর্ণা আক্তারের ব্যাট থেকে। জবাবে ১৬ ওভার ২ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারতের মেয়েরা।
১১৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই শেফালিকে হারায় ভারত। আক্রমণাত্মক এই ওপেনারকে এদিন দাঁড়াতেই দেননি মারুফা। এই পেসারের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরেছেন শেফালি। তৃতীয় বলটি স্টাম্পের ওপর লেন্থ ডেলিভারী করেছিলেন মারুফা, সেখানে বলের লাইন মিস করে লেগবিফোরের ফাঁদে পড়ে ডাক খেয়ে ফেরেন এই ওপেনার।
এরপর জেমিমাকেও দ্রুত ফিরিয়ে ভারতীয় ব্যাটারদের চেপে ধরেন মারুফা-সুলতানারা। কিন্তু সেই চাপ পাকা-হাতে সামাল দিয়েছেন স্মৃতি মান্দানা ও হারমানপ্রিত কর। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলে তৃতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন।
অধিনায়ক ৩৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন হারমানপ্রীত। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রান করে। শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভার ২ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারতের মেয়েরা।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার সাথী রানি ও শামীমা সুলতানা। ১৩ বলে ১৭ রান করে শামীমা বিদায় নিলে ভাঙ্গে ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর সুবহানা মোস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন সাথী। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ২৬ বলে করেছেন ২২ রান।
তিনে নেমে সুবহানাও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তবে তিনিও ওপেনারদের পথেই হেঁটেছেন। শেফালী ভার্মার বলে স্ট্যাম্পিং হওয়ার আগে ২৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। টোপ অর্ডারের এই তিন ব্যাটারের সবাই ভালো শুরুর আভাস দিয়েও ফিরেছেন, তবে বাকিরা সেই আভাসটুকুও দিতে পারেননি।
ব্যর্থ ছিলেন ইনফর্ম নিগার সুলতানা জ্যোতিও। অধিনায়কের ইনিংসের দৈর্ঘ ছিল বলের হিসেবে ৭ আর রানের হিসেবে ২। এই পরিসংখ্যানের চাইতেও দৃষ্টিকটু ছিল তার আউট হওয়ার ধরন। তবে শেষদিকে স্বর্ণার অপরাজিত ২৮ রানের সুবাদে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এসজেড