কেশবপুরের বোরিং-এ (অগভীর নলকূপ) বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা আওয়ালগাঁতী গ্রামে। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে আপন চাচাতো ভাই রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে রবিবার (২৫ এপ্রিল) কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আওয়ালগাঁতী গ্রামের আজিবর সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন কাবিলপুর মৌজার, ৫১ নং জে. এল, ৫৪ নং খতিয়ানের ১৪৯ দাগে ১২ শতক জমির মধ্যে ৫ শতক জমির পৈত্রিক সূত্রে দখলদার হয়ে সেই জমিতে স্থাপন করা বোরিং (অগভীর নলকূপ) দেখিয়ে উপজেলা সেচ কমিটির নিকট থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করে। এরই মধ্যে রুস্তম আলী একই দাগ খতিয়ানে তার পিতার নামীয় জমি দেখিয়ে অতি গোপনে আলমগীর হোসেনের বোরিংকে নিজের দাবি করে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য উপজেলা সেচ কমিটির নিকট আবেদন করে।
রুস্তম আলী তথ্য গোপনের বিষয়টি উপজেলা সেচ কমিটি বুঝতে না পেরে তাকেও লাইসেন্স প্রদান করে। ওই লাইসেন্স পেয়ে রুস্তম আলীও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করে। আলমগীর হোসেনের বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনটি আগে করায় কর্তৃপক্ষ ঘটাস্থলে তদন্তে আসছে বিষয়টি রুস্তম আলী জানতে পেরে হয়রানি করার জন্য উপজেলা সেচ কমিটিসহ বিভিন্ন দপ্তরে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ করে।
তারই প্রেক্ষিতে বিএডিসি কর্তৃক আলমগীর হোসেনের সংযোগ ও লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রুস্তম আলী এখন আলমগীর হোসেন বোরিং দেখিয়ে নেওয়া লাইসেন্সের অনুকুলে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য অফিসে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। রুস্তম আলীর কোন বোরিং না থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আলমগীর হোসেনের বোরিংকে নিজের দেখিয়ে এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার চেষ্টায় থাকার বিষয়টি জানতে পেরে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে আলমগীর হোসেন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুস্তম আলী ভুয়া তথ্য দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আমার সংযোগ ও লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করিয়েছে। এই সুযোগে সে এক শ্রেণির অসাধু কর্তাকে ম্যানেজ করে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। সে কারণে আমি প্রতিকার চেয়ে রুস্তম আলী বিরুদ্ধে তার সংযোগ ও লাইসেন্স স্থগিত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দিয়ে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই