খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  কাল থেকে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সুন্দরবনের গহিনে জ্বলছে আগুন
  দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

মানব পাচার মামলায় কুয়েতে পাপুলের ৭ বছরের জেল

গে‌জেট ডেস্ক

মানব পাচারের মামলায় বাংলাদেশি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুয়েতের শীর্ষ আপিল আদালত। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৭ লাখ ‍কুয়েতি দিরহাম জরিমানাও করা হয়েছে।

কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কারাদণ্ড ভোগের পর কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল জাররাহ এবং জনশক্তি পরিচালক হাসান আল খেদরকেও একই মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের সরকারি এই দুই কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে বহিষ্কারের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

বহুল আলোচিত এই মামলায় কুয়েতের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ খুরশিদকেও ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৭ লাখ ৪০ হাজার কুয়েতি দিরহাম জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের এই রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।

এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতের একটি অপরাধ আদালত বাংলাদেশি সাবেক সংসদ সদস্য পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং ১৯ লাখ কুয়েতি দিরহাম জরিমানা করেন।

নিজের একটি কোম্পানির মাধ্যমে কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে কুয়েতে শ্রমিক পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে পাপুলের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশি কয়েক ডজন শ্রমিককে অবৈধভাবে কুয়েতে পাঠানোর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের এই সাবেক সাংসদ।

কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল উপসাগরীয় এই দেশটিতে ৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিরহাম মূল্যের সম্পদ গড়েছেন বলে সেই সময় জানানো হয়। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্যকে গত বছরের ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। সেই সময় অন্তত পাঁচ বাংলাদেশি প্রবাসী পাপুলের মাধ্যমে পাচার হয়েছেন দাবি করে অভিযোগ করেন। কুয়েতের আদালতের বিচারক এই অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।

কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের জিজ্ঞাসাবাদে কাজী পাপুল কুয়েতি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে মানব ও অর্থপাচার করেছেন বলে স্বীকার করেন। দেশটিতে এমপি পাপুলের মারাফি কুয়েতিয়া নামের একটি কোম্পানি রয়েছে; যেখানে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি কাজ করেন।

তদন্তে তার বিরুদ্ধে অর্থ, মানবপাচার এবং বাংলাদেশি প্রবাসীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতাও পায় কুয়েতের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। পরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর কুয়েতি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গঠন করে তার বিরুদ্ধে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু করে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!