জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, মাইকেল মধুসূদন বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ, অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, সনেট রচয়িতা ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তাঁর লেখা কঠিন হলেও অনুভূতি ছিলো সহজ ও সুন্দর। দেশ ও জন্মভূমির প্রতি যে ভালোবাসা তা লেখনির মাধ্যমে বোঝা যায়।
তিনি শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় যশোর কেশবপুরের সাগরদাঁড়ী মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর ২০০তম জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলা সাহিত্যের সর্বক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক, নবজাগরণের জনক মাইকেল মধুসূদন দত্ত। জীবনযাত্রায় বিদেশিয়ানা হলেও কবি অন্তরে ছিলেন বাঙ্গালি। পুরাতন ধ্যানধারণা বিচূর্ণ করে নতুন ভাবধারা ও আঙ্গিক-শৈলী প্রতিষ্ঠা করে বাংলা সাহিত্যে কবি আলোড়ন তুলেছিলেন। দেশীয় ঐতিহ্যকে যুগোপযোগী করে নবমূল্যায়ন করেছিলেন। আধুনিকতার রূপকার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের সূচনা করে গেছেন। বাঙ্গালি জাতি তাঁর জন্য গর্বিত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হায়দার গনী খান পলাশ, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিসেমিনেশন অফ নিউ কারিকুলাম স্কিমের উপপরিচালক ড. কুদরত-ই-হুদা ও আবু শারাফ সাদেক কারিগরি কলেজের প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য। যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এতে সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে মন্ত্রী মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি ও জাদুঘর পরিদর্শন করেন। – খবর তথ্য বিবরণীর
খুলনা গেজেট/কেডি