খুলনার কয়রায় এক প্রতিবন্ধীর সাথে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। মানসিক প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম গাজী (৭১)কে মাংস খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার নামীয় ১৩ শতাংশ জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবন্ধী রফিকুল উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মৃত আনছার আলী গাজীর ছেলে।
মাংস খাওয়ানোর কথা বলে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান ও মহসীন গাজী নামের দুই ব্যাক্তি কয়রা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ডেকে নিয়ে ওই প্রতিবন্ধীর শেষ সম্বলটুকু নিজেদের নামে নিবন্ধন করে নিয়েছেন। ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে রফিকুলের পরিবার।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামকে তার বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। হোটেলে খাওয়ানোর পর দলিলে টিপ স্বাক্ষর নিয়ে তার নামীয় ১৩ শতাংশ জমি লিখে নেয় হাবিবুর ও মহসীন। পরে রফিকুলের হাতে মাত্র ২৫০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে একটি ভ্যানে করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় তারা। ঘটনা জানাজানির পর রেজিষ্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয় রফিকুলের পরিবারের সদস্যরা।
প্রতিবন্ধী রফিকুল গাজীর ছোট ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনা জানার পর হাবিবুর ও মহসীনের কাছে জানতে চাইলে তারা প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে দলিলের সার্টিফাইড কপি তুলে আনা হলে তারা নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আমাদের চুপ থাকতে বলে।
স্থানীয় মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি বলেন, ওই ব্যক্তি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। এটা এলাকার সকলেই জানে। খুলনার একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে তার চিকিৎসা চলছে। এ অবস্থায় তার দুসম্পর্কের দুই ভাইপো ফুসলিয়ে জমি কোবলা দলিল করে নিয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তার পরিবারকে।
জানতে চাইলে সাব-রেজিষ্ট্রার দিপঙ্কর দাস বলেন, ওই ব্যক্তির অসুস্থতার কথা বলে দু’জন লোক আমার সামনে নিয়ে আসে। জমি রেজিষ্ট্রির ব্যাপারে তার সম্মতি পেয়ে আমি তা অনুমোদন দিয়েছি। পরে জানতে পারি তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী। এ ব্যাপারে তার পরিবারকে দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই