যশোরের মণিরামপুরে একটি পাউরুটির কারখানায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় দুই যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছেন জনগণ। আটক দু’জন হলেন, কেশবপুরের ভাল্লুকঘর গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ (২৫) ও একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার সোহরাব মোড়ে কামাল হোসেনের ‘মায়ের দোয়া’ বেকারিতে চাঁদাবাজির সময় তাদের ধরে রাখেন স্থানীয়রা। পরে খবর দিয়ে রাতে খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, আটক দুই যুবক বেসরকারি বিজয় টিভির বুম নিয়ে বেকারিতে ঢোকেন। তাদের সন্দেহ হলে আশপাশের লোকজন ধরে ফেলেন। পরে চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিজয় টিভির পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এক পর্যায়ে মাহফুজের কাছে বন্ধ হয়ে যাওয়া জয়যাত্রা টিভির একটি কার্ড পাওয়া গেছে। অপরজন তরিকুল মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালক বলে জানিয়েছেন।
মায়ের দোয়া বেকারির ম্যানেজার মাসুদ পারভেজ বলেন, ওই দু’জন মঙ্গলবার বিকালে বেকারিতে এসে মালামালের ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। বেকারির ছবি বিজয় টিভিতে ভাইরাল করাসহ ম্যাজিস্ট্রেট ডেকে এক লাখ টাকা জরিমানা করিয়ে দেয়ার হুমকি দেন তারা। এক পর্যায়ে আমাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তখন সন্দেহ হওয়ায় আমরা তাদের আটকে পুলিশে সোপর্দ করি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেশবপুর থেকে মণিরামপুরে এসে মাহফুজ বিজয় টিভির সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলার রোহিতা, কোদলাপাড়া, টেংরামারী, জালালপুর ও সোহরাবমোড়ের বেকারিগুলোর মালিকদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে সুবিধা লুটেছেন।
সোহরাব মোড়ের আলমগীর নামে এক বেকারি মালিক বলেন, কয়দিন আগে আমার বেকারিতে এসে নানা ত্রুটি ধরে ৫শ’ টাকা নিয়েছে এই মাহফুজ। জালালপুর বাজারের বেকারি মালিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সেদিন আমার বেকারিতে এ লোক এসে টাকা ও বিস্কুট নিয়ে গেছে।
খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সোমেন দাস বলেন, বেকারি মালিক কোনো অভিযোগ না করায় মুচলেকা নিয়ে আটক দুই যুবককে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। আগামীতে তারা এ ধরনের কাজ করবে না বলে অঙ্গিকার করেছে।
খুলনা গেজেট/কেএ