খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মহাখালীতে সড়ক-রেললাইন অবরোধ শিক্ষার্থীদের, সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ
  ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে : চিফ প্রসিকিউটর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনের শুনানি চলছে
  শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

মণিরামপুরে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ

মণিরামপুর প্রতিনিধি

যশোরের মণিরামপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুইটি মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করায় প্রায় ১’শ মন মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠেছে বলে অভিযোগ। গত সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বাকোশপোল গ্রামের হাজরাপাড়ার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্থ ঘের মালিক তপন কুমার দাস ও শহিদুল হকের দাবী প্রতিপক্ষ সুব্রত বেদনাথ ও তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় (২০ এপ্রিল) মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বর বিল্লাল হোসেন জানান, বাকোশপোল গ্রামের হাজরাপাড়ার মাঠে সনৎ দেবনাথ ও তার শরিকদের কাছ থেকে এক একর ১৩ শতক জমি লিজ নিয়ে ঘের নির্মাণ করেন তপন কুমার দাস। তার পাশেই সাবেক ইউপি মেম্বর আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে ৮৪ শতক জমি লিজ নিয়ে অপর মৎস্য ঘেরটি নির্মাণ করেন শহিদুল হক। উক্ত ঘের নিয়ে ইতিপূর্বে সুব্রত দেবনাথের সাথে তপন দাসের বিরোধ শুরু হয়। অবশ্য বিষয়টি থানা পুলিশের মাধ্যমে বিরোধ মিমাংসাও হয়।

ক্ষতিগ্রস্থ তপন দাসের অভিযোগ পূর্ব শক্রতার জের ধরে সুব্রত দেবনাথ ও তার লোকজন সোমবার রাতের যে কোন সময় তার মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে।

অপর ঘের মালিক শহিদুল হকের দাবী, ঘের নিয়ে ইতিপূর্বে বিরোধ হলে তিনি তপন দাসের পক্ষে কথা বলায় প্রতিশোধ হিসেবে সুব্রত দেবনাথ তার মৎস্য ঘেরেও একই রাতে বিষ প্রয়োগ করে। এতে ২ ঘেরের প্রায় এক’শ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে পানিতে ভেসে ওঠে।

জানতে চাইলে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সুব্রত দেবনাথ দাবী করেন, তপন দাস ও শহিদুল হক এলাকায় অনেক ঋণগ্রস্থ হওয়ায় পাওনাদারদের চোখ ফাঁকি দিতে পরিকল্পিতভাবে নিজেরা ঘেরে বিষ প্রয়োগ করতে পারে।

মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, উক্ত ঘটনায় মৎস্য ঘের মালিক তপন দাস ও শহিদুল হক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!