মণিরামপুরে মাছের ঘেরে প্রয়োগের জন্য শ্যাওলা কেনাকে কেন্দ্র করে বিকাশ বিশ্বাস (৩৮) নামের এক মুদি দোকানীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত বিকাশ উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের পুত্র।
খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী রবীণ বিশ্বাস বাদী হয়ে জড়িত ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দায়ের করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।
নিহতের ভাই রবীণ বিশ্বাস জানান, তার মাছের ঘেরে প্রয়োগের জন্য শ্যাওলা কেনা নিয়ে অপর ঘের ব্যবসায়ী একই এলাকার আলমগীর হোসেনের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে স্থানীয় তেঁতুলিয়া মোড় নামক স্থানে আলমগীরসহ কয়েকজন আক্রমণ চালিয়ে তাকে মারপিট করতে থাকে। এসময় ভাইকে রক্ষা করতে বিকাশ এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এক পর্যায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হামলার বিষয়টি অবহিত করে তাকে বাড়ীতে নিয়ে গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাড়ীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে বিকাশের মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই নিহতের ভাই রবীণ বিশ্বাস বাদী হয়ে একই এলাকার নাজের শেখের পুত্র আলমগীর হোসেন তার চাচা শামছুর রহমান, চাচাতো ভাই আব্দুল আজীজ ও লিটন শেখকে অভিযুক্ত করে মণিরামপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, হামলার বিষয়টি তিন দিন অতিবাহিত হয়ে নিজ বাড়ীতে বিকাশের মৃত্যু হওয়ায় মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে, হামলাকারীদের আটকের জন্য বিশেষ অভিযান চলমান থাকলেও তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে নিহতের ভাই রবীণ বিশ্বাসসহ এলাকার অনেকেই জানান, বিকাশের উপর হামলার নেতৃত্বদানকারী আলমগীর ইতিপূর্বে ক্ষমতার দাপটে উপজেলার শৈলী বাজারে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে প্রকাশ্যে হত্যা করে। মকবুল হত্যা মামলায় সে প্রধান আসামী।