যশোরের মণিরামপুরে বিধবা জাহানারা হত্যা মামলায় আটক মোয়াজ্জেম হোসেন লাল্টু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা তিনজন মিলে জাহানারাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার কথা স্বীকার করেছে লাল্টু। শনিবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন লাল্টু উপজেলার শমসকাঠি গ্রামের মৃত শাহাজান শেখের ছেলে।
মোয়াজ্জেম হোসেন লাল্টু জানিয়েছে, জয়গনর গ্রামে জাহানারা বেগমের বাড়ি। গ্রাম আলাদা হলেও পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় সে তার পূর্বপরিচিত। ঘটনার রাতে তারা তিনজন পরিকল্পনা করে জাহানারার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করবে। সেই অনুযায়ী লাল্টু তাকে ফোন করে মাঠে আসতে বলে। এরপর তারা তিনজন পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে ধানখেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন পুলিশ জাহানারা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকলে মণিরামপুরের শ্যামকুড় ইউনিয়নের জামলা রোডের আব্দুল লতিফের ধানখেত থেকে জাহানারা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জাহানারা বেগম জয়নগর গ্রামের মৃত লুৎফর বাবুর্চীর স্ত্রী। এ মামলার তদন্তকালে যশোরের পিবিআই হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে লাল্টুকে আটক ও শনিবার আদালতে সোপর্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। লাল্টু গণধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই