খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

মণিরামপুরে চুরির অভিযোগে মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৩

গেজেট ডেস্ক

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় এবার মোবাইল ফোন সেট চুরির অপবাদে তুলে মামুন হাসান (২২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার বিকালে মণিরামপুর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মামুন হাসান মণিরামপুর উপজেলার খোজালিপুর এলাকার মশিয়ার গাজীর ছেলে ও মণিরামপুর আলিয়া মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

এ ঘটনায় বুধবার রাতেই নিহতের বাবা মশিয়ার গাজী মণিরামপুর থানায় মামলা করেছেন। ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে পাঁচ-ছয়জনকে। পুলিশ বুধবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

তারা হলেন মণিরামপুর উপজেলার খাজালিপুর গ্রামের মাহামুদ হোসেনের ছেলে মো. লাভলু (২৫), একই গ্রামের মিজানুর গাজীর ছেলে আলতাফ হোসেন (৩০) এবং ইউসুফ আলীর ছেলে সোহাগ হোসেন (১৯)।

বাদী মশিয়ার গাজীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে রাত ১১টার দিকে মামুন পাশে তার খালা রেহেনা বেগমের দোকানে যায়। তখন বন্ধু আরমান তাকে ডেকে পাশে হরিহর নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে দল পাকিয়ে লোকজন এসে মামুনকে নদের পানিতে ফেলে মারধর করে। এর পর ওই গ্রামের আয়নালদের বাড়িতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে তাকে আবারও মারধর করা হয়। ভোর ৩টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা মারধরের শিকার হয় মামুন। খবর পেয়ে তার মা সেখানে গিয়ে ছেলেকে মরণাপন্ন অবস্থায় দেখতে পান। তাকে জানানো হয়, তার ছেলে মোবাইল ফোন চুরি করেছে। পরদিন বুধবার সকালে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিকাল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসাছাত্র নিহতের ঘটনায় বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। ওই রাতে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এলাকায় চুরি বৃদ্ধি পায়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। হঠাৎ হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটে গেছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!