যশোরের মণিরামপুরে ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে গোলযোগে হাসিনা বেগম নামে এক নারীর ধানের গাদায় আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। আগুনে তার ১০ কাঠা জমির ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রাজগঞ্জ বণিকপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আগুনের খবর পেয়ে রাতেই রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক মন্টু ও ইউপি সদস্য তাজু হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও অসহায় হাসিনা বেগমকে সান্তনা দেন। স্বামী পরিত্যক্তা হাসিনা বেগম তার বাবা মৃত মুজাহার আলী গাজীর ভিটায় থেকে অন্যের জমিতে কাজ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত হাসিনা বেগম বলেন, মাঠে কাজ করে জীবন চালাই। এবার অনেক কষ্ট করে ভাগে ১০ কাঠা জমিতে বোরো ধান আবাদ করি। সেই ধান কেটে বাড়ির উঠানে গাদা দিয়ে রাখা ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী শাহজাহানের স্ত্রী রহিমার একটি ছাগল গাদার ধান খাচ্ছিলো। প্রতিবাদ করায় আমার সাথে তাদের ঝগড়া হয়। পরে আমি রাজগঞ্জ বাজারে চলে যাই। এ সুযোগে রহিমা ও তার মেয়ে খালেদা রাত সাড়ে ৭টার দিকে ধানের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে গাদার ১০ কাঠা জমির ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
হাসিনার আর্তনাদ, ধান ঝেড়ে জমির মালিকের ভাগ দেয়ার কথা ছিল। এখন মালিকের ধান দেব কী করে, আর আমি খাব কী?
হাসিনার ভাইপো শরিফুল ইসলাম বলেন, ছাগলে ধান খাওয়ায় বকাবকি করাতে রহিমা বেগম, তার মেয়ে খালেদা এবং বড় ছেলের বউ ডলি মিলে ধান গাদায় আগুন দেয়। আগুন দেখে আমরা এসে নিভিয়ে ফেলি।
অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। ডলি খাতুন বলেন, সন্ধ্যায় আমি বাড়ি ছিলাম না। কারা আগুন দিয়েছে দেখিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজু হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। অসহায় হাসিনা বেগম খুব কান্নাকাটি করছিল। তাকে সান্তনা দিয়ে এসেছি।
রাজগঞ্জ ক্যাম্পের এসআই আজমল হোসেন বলেন, কারা ধান গাদায় আগুন দিয়েছে সেটা কেউ দেখেনি। আগুনে তার বাড়ির উঠানে গাদা করে রাখা ধান পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে হাসিনা বেগম লিখিত আভিযোগ দিয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম