সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে চাল আমদানি বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে চাল আমদানি কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। আমদানিকৃত চালের মধ্যে রয়েছে চিকন মিনিকেট, নাজিরশাইল, মোটা রত্না ও জামাইবাবু। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব চাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক বলছেন, দেশীয় বাজারে খাদ্যশস্যের চাহিদা বাড়ায় চাল আমদানি বেড়েছে। এদিকে আমদানি বাড়ায় বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে প্রকারভেদে মণপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে চালের।
ব্যবসায়ীরা জানান, সামনে বোরো চাল উঠলে দাম আরো কমবে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার চাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৯০২ টন। যার আমদানি মূল্য ৫১৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সূত্রটি আরো জানিয়েছে, গত ২০২১-২২ মৌসুমের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছিল ৮৪ হাজার ৭৭০ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ২৯১ কোটি ৬ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে বন্দরে চাল আমদানি বেড়েছে ৪৩ হাজার ১৩২ টন।
নওগাঁ জেলার চাল আমদানিকারক মেসার্স সোনালী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কমল কুমার জানান, তার প্রতিষ্ঠান ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে বছরে উল্লেখযোগ্য হারে চাল আমদানি করে। এসব চালের মধ্যে রয়েছে চিকন মিনিকেট, নাজিরশাইল, মোটা রত্না ও জামাইবাবু। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে তার প্রতিষ্ঠানের চাল আমদানি বেড়েছে ৩৫-৪০ শতাংশ। দেশীয় বাজারে খাদ্যশস্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমদানি বাড়ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমদানিকৃত এসব চাল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায় সরবরাহ করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে বড় মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ভারতীয় চালের আমদানি বাড়ায় দেশীয় বাজারে চালের দাম কমে গেছে। এক মাসের ব্যবধানে চিকন চাল মণপ্রতি ৮০ টাকা এবং মোটা চাল ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে বোরো চাল বাজারে উঠলে আরো কমে যাবে সব ধরনের চালের দাম।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বেড়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম