ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে নুর ইসলাম (৫০) নামে একজন বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করে ভারতে প্রবেশের জন্য নোম্যান্সল্যান্ডে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে তার মৃত্যু হয়।তিনি যশোরের কোতোয়ালী থানার বকচর এলাকার গোলাম রসুলের ছেলে। তার পাসপোর্ট নম্বর – A-01131727। নুর ইসলাম চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছিলেন।
বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে দাড়িয়ে থাকা একাধিক পাসপোর্ট যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কার্যক্রম তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ সম্পন্ন হতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লেগে যায়। সে দেশের কাস্টমস ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা ইচ্ছা মত কাজ করে। ইমিগ্রেশনে পর্যাপ্ত ডেক্স থাকলেও অফিসার বসেন মাত্র কয়েকজন। অথচ বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশনে সব ডেস্কেই অফিসার বসেন। কাজও হয় দ্রুত। পাসপোর্ট যাত্রীদের কোন ভোগান্তি হয় না।
ভারত ভ্রমনে যাওয়া অন্য এক যাত্রী বলেন, ভারতে গিয়ে বাংলাদেশি যাত্রীরা রীতিমতো টাকা ডলার খরচ করে থাকেন। কিন্তু নুন্যতম সম্মান তাদের দেখানো হয়না সেখানে। ভারত অংশে নোম্যান্সল্যান্ডে খোলা আকাশের নিচে ঘন্টা পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয় তাদের। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝে একটু বেলাইন হলে সেদেশের বিএসএফ লাঠি নিয়ে মারতে আসে। চোখ গরম দিতে থাকে আর বলে লাইন কোন রকম নাড়াচাড়া হলে খবর আছে। পশুর মতো আচরণ করা হয় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সাথে। এতে করে মানুষের মাঝে ভয়ভীতি কাজ করে থাকে। অনেকের সাথে থাকা বাচ্চারা লাঠি দেখে চিৎকার করে কান্না কাটি করতে থাকে।যে সমস্ত বাংলাদেশীরা ভিসা নিয়ে ভারতে যান তারা যে তাদের কাছে কত অসহায় তা বলে বোঝানো যাবে না।
ভুক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রীরা দু’দেশের হাইকমিশনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
পাসপোর্ট যাত্রী নুর ইসলামকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রোগী অনেক আগেই মারা গেছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, শুনেছি একজন পাসপোর্ট যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম