খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারতে কারাভোগ শেষে ফিরলেন এক শিশুসহ ২০ নারী

বেনাপোল প্রতিনিধি

বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ভারতে পাচার হওয়া এক শিশুসহ ২০ বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফিরেছেন।

ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।

তারা হলেন- মফিজুর রহমান, মোস্তাকিন বিল্লাহ, বাইজিদ শেখ, জয়নাল আবেদন, মো: সোহেল, পারভেজ মিয়া, আমির হামজা, মো: রতন , বুদ্দিন বিশ্বাস, সুমাইয়া খাতুন, দিলদার বেগম, রোজিনা আক্তার, সীমা খাতুন, তাসলিমা, ইয়াসমি খাতুন, আমিনা বেগম, কেয়া বিবি, শংকরি বাড়ই, সুফিয়া বেগম ও লাকি আক্তার। এরা যশোর, সাতক্ষীরা, মোড়লগঞ্জ, কক্সবাজার, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমাই। এরপর বাসাবাড়িতে কাজের সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে সাজাভোগ করেছি। পরে লিলুয়া শেল্টারহোম থেকে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছি। শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি নারী আছেন। তারা দেশে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।

এদিকে জয়নাল আবেদন বলেন, দেশে বেকার জীবনের অবসান কাটাতে কাজের সন্ধানে ভারতে যায়। ভারতের কলকাতায় একটি ইট ভাটায় কাজ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হই। ধ্রুবআশ্রম নামে একটি এনজিও ছাড়িয়ে শেল্টারহোমে রাখে। সেখান থেকে আজ দেশে ফিরলাম।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আহসান হাবিব বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ২০ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, মহিলা আইন সমিতি ও রাইটস যশোর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখা হবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!