রাতের সড়কে চালকদের কাছে আরেক আতংকের নাম অটোভ্যান ও অটোরিকশায় লাগানো এলইডি লাইট। উজ্জল সাদা আলোর এই লাইট গুলো চোখের উপর প্রভাব ফেলায় চালক ও পথচারী তার সম্মুখে বিপরীত দিকে তেকে আসা যানবাহনকে ভালোমতো দেখতে পান না। যার কারনে অহরহই ঘটে ছোটখাট দুর্ঘটনা।
উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ইদানিং এই লাইটের ব্যবহার অধিক হারে দেখা যাচ্ছে। বড় ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে এখনই এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মটরসাইকেল চালক সোহান হোসেন জানান, আমরা নিয়মিত মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করি। রাতে সড়কে মোটর চালিত ভ্যান ও অটোরিকশায় এক ধরনের উজ্জল এলইডি লাইট লাগানো থাকে যে গুলোর আলো চোখে পরলে কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখে ঝাপসা দেখা লাগে। যার কারনে অনেক সময় যাত্রীরাও আতংকিত হন। আমরাও মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রন করতে হিমশিম খাই। আর এক পথচারী মাহাবুর রহমান জানান, এসব লাইটের আলো সাদা হওয়ায় আমাদের চোখের ক্ষতিও করে। সড়কের পাশ দিয়ে হাটার সময় আলো চোখে পড়লে কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না। প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। আর যে সকল যানবাহনে এগুলো লাগানো থাকে সেগুলোর বেশিরভাগই অনুমোদনহীন। এছাড়া কিছু মোটরসাইকেলেও এই ধরনের লাইট লাগানো থাকে যার আলোর তীব্রতা আরও অনেক বেশি। যা চোখের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
রাসেল নামের একজন ব্যাক্তি জানান, আমি নিয়মিত কাজের তাগিদে মনোহরপুর মনিরামপুর যশোর সড়কে চলাচল করি। নিজের বাইকেই বেশিরভাগ চলাচল করা হয়। রাতে অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন যানবাহনে এলইডি লাইট লাগানো থাকে। যেগুলো চোখে পড়ার কারনে বাইকের গতি কমিয়ে দিতে হয় নতুবা সড়কের পাশে বাইক নিয়ে দাড়াতে হয়। এছাড়া আমি চোখে সমস্যার কারনে চশমা ব্যবহার করি। চশমার উপরে উজ্জল সাদা আলো সরাসরি পরার কারনে সামনে সবকিছু ঝাপসা মনে হয়। যা আমাদের জন্য একটা বড় ধরনের সমস্যা যার কারনে বড় ধরনের দূর্ঘটনায় আমাদের জানমালের ক্ষতি হতে পারে। তাই যথাযথ কতৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন বলে আমি মনে করি।
অন্যদিকে অটোভ্যানচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা যে লাইটগুলো ব্যবহার করি সেগুলো এলইডি হওয়ায় আমাদের ব্যাটারির বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। এছাড়া এগুলো অন্যান্য লাইটগুলোর থেকে দামেও অনেক সস্তা। তবে এর আলোটা চোখের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে সেটা আমরাও সড়কে চলার সময় বুঝতে পারি। সচেতন মহল মনে করছে এর একটা সুষ্ঠ সমাধান হওয়া দরকার তাই তারা উদ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম আবু নওশাদ বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করিনি।তবে আমাদের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি