যশোরের চৌগাছায় শিমলা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরী আগাছানাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছে পরিবার। সে উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের টেঙ্গুরপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। গত ১৭ নভেম্বর আগাছা নাশক খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টার পর বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরী নিজের গার্মেন্টস কর্মী বড় বোন ও বোন জামাইয়ের সাথে ঢাকায় থাকতো। সেখানে বোন জামাইয়ের সাথে পরকীয়ার এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করে বোন জামাই। এনিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল। কলহের জেরে সে আগাছা নাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্বজন জানান, মেয়েটির বড়বোনের বিয়ে হয়েছে দিনাজপুরে। তারা স্বামী-স্ত্রী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তাদের দুই ছেলেমেয়ে দেখাশুনার জন্য মেয়েটি বোনের বাসায় থাকতো। সেখানে থাকার সুবাদে বোনজামাইয়ের কু’নজর পড়ে শিমলার উপর। তার সাথে প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্কের একপর্যায়ে দু’জন সবার অগোচরে বিয়ে করেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে দুই বোনের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ হয়। একপর্যায়ে শিমলা বাবার বাড়িতে চলে আসে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে মা-বাবার সাথেও তার মনোমালিন্য হয়।
এতে অভিমান করে গত ১৭ নভেম্বর বাবার বাড়িতেই আগাছানাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসার পর ২২ নভেম্বর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবার। ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে নয়টার দিকে অবস্থার অবনতি হয়ে বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।
চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরাহতল প্রতিবেদন শেষে সেটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বোনজামাইয়ের সাথে বিয়ের বিষয়টি শুনেছেন বলেও তিনি নিশ্চিত করেন। চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই