টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। কেনো ব্যাট করতে চাইছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, আগের ম্যাচের মতো নিজ দলের ব্যাটারদের চাপে রাখতে চান না তিনি। ব্যাটারদের চাপমুক্ত হয়ে খেলার সুযোগ করে দিতেই আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ছিল জ্যোতির।
কিন্তু বিপক্ষে যখন অস্ট্রেলিয়া, তখন চাপ না থেকে উপায় কী! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ খেই হারিয়েছে আরেকবার। এলিস পেরি ছাড়া সকলেই স্বাগতিক ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ব্যাটারদের প্রত্যেকেই এদিন ছিলেন বিবর্ণ। এমনকি বাংলাদেশের হয়ে দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন মোটে ৩ জন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টাইগ্রেসদের ইনিংস থেমেছে ৯৭ রানে।
ইনিংসের শুরুতে একের পর এক ডট বল খেলেছেন দুই ওপেনার ফারজানা পিংকি এবং সোবহানা মোস্তারি। পাওয়ারপ্লেতেই ছিল চার মেডেন ওভার। এসেছিল মোটে ১৭ রান। হারাতে হয়েছে সোবহানার উইকেট। আগের ম্যাচে ডাক মেরে বিদায় নেওয়া পিংকি এদিন ছিলেন আরও ধীরগতির। ১৫তম ওভারে সোফি মলিনিউয়ের বলে যখন আউট হয়েছেন, তখন ৫২ বলে করেছেন মোটে ৭ রান।
এরপরের দুই ওভারে বাংলাদেশ হারিয়েছে আরও দুই উইকেট। মুরশিদা আউট হয়েছেন অ্যাশলি গার্ডনারের বলে। ক্যাচ নিয়েছেন সোফি। পরের ওভারে লেগ বিফোর হয়েছেন দলের সবচেয়ে বর ভরসা অধিনায়ক জ্যোতি। ৫ বলে ১ রান করে থামে তার ইনিংস।
ফাহিমা খাতুন এবং রিতু মণি এরপর গড়েছেন ২৭ রানের জুটি। দলীয় স্কোর ৫০ ছাড়ায় তাদের ১০ রানের দুই ইনিংসের কল্যাণে। পরপর দুই ওভারে আউট হয়েছেন তারাও। দুজনেই উইকেট দিয়ে এসেছেন উড়িয়ে খেলতে গিয়ে। রিতুর উইকেট পেয়েছেন সোফি। আর ফাহিমার উইকেট গিয়েছে জর্জিয়া ওয়্যারহ্যামের ঝুলিতে।
স্বর্ণা খেলেছেন ১৯ বলে ২ রানের আরেকটি ধীরগতির ইনিংস। ৫৬ রানে পতন ঘটে ৭ম উইকেটের। রাবেয়া খান ফিরেছেন দলীয় ৬১ রানে। সুলতানার ইনিংসটাও ছিল এক অর্থে সংগ্রামের। উইকেটে এসে ২৩ বলে করেছেন ৫ রান। দলের সর্বোচ্চ স্কোরার নাহিদা আক্তার। শেষে এসে ২২ রানের ইনিংস দিয়ে দলের স্কোর টেনে নিয়েছেন ১০৫ পর্যন্ত। অজিদের পক্ষে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন সোফি মলিনিউ। ২ উইকেট পেয়েছেন অ্যাশলি গার্ডনার, অ্যালানা কিং এবং জর্জিয়া ওয়্যারহ্যাম। একটি উইকেট মেগান শ্যুটের।
খুলনা গেজেট/এনএম