খাদ্য ঘাটতি পূরণে বোরো উৎপাদন বাড়াতে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা কোমর বেধে নেমেছেন। এজন্য খুলনার ৩ টি গুদামে ৪ হাজার ১শ’ ৭ মে. টন নন ইউরিয়া সার মজুদ করা হয়েছে। খুলনার গুদামগুলো থেকে দেশের ৩৪ জেলায় সার যাচ্ছে। মংলা বন্দরে নন ইউরিয়া বোঝাই জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে।
বোরোর ভরা মৌসুম চলছে৷ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে ইউরিয়ার পাশাপাশি নন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। বিএডিসি (সার) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৌসুমী সারের কোন সংকট নেই। মংলা বন্দর থেকে কার্গো বোঝাই সার বয়রা, শিরোমনী ও রুজভেল্ট জেটি গুদামে মজুদ করা হয়। মজুদকৃত সারের মধ্যে ১৮শ’ মে. টন টিএসপি, ১ হাজার ৪শ’ মে. টন এমওপি ৮শ ৭৫ মে. টন ডিএপি। এখানকার মজুদকৃত সার প্রতিদিন বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও ঢাকা বিভাগে ফরিদপুর, শরিয়তপুরসহ ৩৪ জেলায় যাচ্ছে।
বিএডিসি (সার) খুলনার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, এবারের বোরো মৌসুমে নন ইউরিয়া সারের ঘাটতি নেই। তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসে খুলনা বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৯শ’ মে. টন টিএসপি সার বরাদ্দ করা হয়৷ শুধুমাত্র গোপালগঞ্জ জেলায় ৫শ’ মে.টন এমওপি সার বরাদ্দ করা হয়। এ অঞ্চলে ড্যাপের কোন বরাদ্দ নেই৷
বিএডিসি (সার), খুলনার যুগ্ম পরিচালিক প্রশান্ত কুমার সাহা মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের এক সভায় নন ইউরিয়া সার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিলারদের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিতরন করা হয়। ডিলারদের কিছুটা অসহযোগীতার জন্য বিএডিসি গুদামে মজুদ শেষ হয় না। একই সভায় নৌ পরিবহন মালিক ওয়াহিদুজ্জামান খান পল্টু রুজভেল্ট জেটিতে দ্রুত মালামাল খালাসের জন্য দুটি ক্রেন স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
খুলনা গেজেট/এনএম