বেনাপোলে কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের মধ্যে ছয় বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ব্লাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কিনা তা, এ মুহূর্তে জানা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, যশোর সীমান্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ। সেইসঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। বিষয়টি ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্যবিভাগকেও। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, ভারতফেরত সব যাত্রী করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে ফিরছেন। তারপরও সরকারি নির্দেশনায় বাড়তি সচেতনতা হিসেবে তারা ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেছিলেন। তাদের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায় গতকাল (৩১ মে) তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার তাদের নমুনার রিপোর্ট এলে ছয়জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এরই মধ্যে আক্রান্তদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অনিয়মকারীদের অর্থদণ্ড করা হচ্ছে। বন্দরের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার, গ্রাম পুলিশ ও বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতারা বন্দর এলাকায় মাইকিংসহ সচেতনতায় কাজ করছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি