স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একাত্তরের রণাঙ্গনের সাহসী সন্তান বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের কবরে আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ ) সকালে তার কবরে গার্ড অফ অনার, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা ও দোয়ার অনুষ্ঠান করেন শার্শা উপজেলা প্রশাসন।
সমাধিস্থলে প্রশাসনের বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এছাড়া আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যশোর ৪৯ বিজিবির পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। গার্ড অফ অনার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির উপঅধিনায়ক মেজর সেলিমুদ্দোজা।
দিনটি উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ এর সমাধিতে সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ৮৫ যশোর, শার্শা ১ আসনের সাংসদ, উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ এর পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শার সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশি, যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর সেলিমুদ্দোজা, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছানুজ্জামান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের সমাধিতে এদিন শ্রদ্ধা জানান শহীদের সন্তান এসএম গোলাম মোস্তফা কামাল, মেয়ে হাসিনা খাতুনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন নূর মোহাম্মদ শেখ। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পর ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরবর্তীতে ল্যান্সনায়েক হিসেবে পদোন্নতি পান।
১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন নূর মোহাম্মদ শেখ। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিন সঙ্গীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার অনন্য নজির স্থাপন করেন তিনি। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে শহীদ হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম