বটিয়াঘাটা উপজেলার আলোচিত ধর্ষণ মামলায় আসামি আজিজুল মোড়ল ওরফে মেশো আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: আজহারুল ইসলাম।
অপরদিকে এ মামলার অপর দু’আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে প্রেরণ করলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: হাদিউজ্জামান বুধবার (১৮ মে) শুনানীর দিন ধার্য করেন। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আদলত সূত্র জানায়, মেশো বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের আজনবী মোড়লে ছেলে, পেশায় একজন কৃষক। ঘটনার রাতে সাড়ে ১১ টার দিকে ওই এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসা ছিল মেশো। এর কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় যুবক মুজাহিদের সাথে দেখা হয়। মুজাহিদ প্রেমিকার সাথে দেখা করবে বলে তার সাথে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। মেশো তার অনুরোধ রাখে।
রাত দেড়টার দিকে ওই বাড়ির সামনে গিয়ে মুজাহিদ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। ধারালো বস্তুর সাহায্যে ঘরের দরজা খুলে ফেলে মুজাহিদ। ঘরের সামনে গিয়ে মুজাহিদের পরামর্শে শিশুর মুখ চেপে ধরে মেশো। এরপর মুজাহিদ ভিকটিমের খালাতো বোনের কাছে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর ফিরে আসে মুজাহিদ।
শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মেশো বলে শিশুটি (১৩) তার পা ধরে কেঁদেছে। এ কথা শুনা মাত্রই মুজাহিদ শিশুটির কাছে যায়। সেখানে আধাঘন্টার বেশী অবস্থান করে মুজাহিদ। পরে মেশো গিয়ে দেখে মুজাহিদ তাকে ধর্ষণ করছে। সেখান থেকে বের করে আনা হয় তাকে। শিশুটি চিৎকার করতে থাকলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুমেক ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। তবে সাথে থাকলেও মেশো ধর্ষণ করেনি বলে জানিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার ওসি তদন্ত জাহেদুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, ১৬ মে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে র্যাব মেশো ও মুজাহিদ শেখ এবং পুলিশ নাঈমকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেশো ধর্ষণের ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। জবানবন্দি দিতে চাইলে মঙ্গলবার তাকে আদালতে নেওয়া হলে ঘটনার বর্ণনা দেয়। মামলাটি যেহেতু আলোচিত তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
তিনি আরও বলেন, মামলার অপর দু’ আসমি মুজাহিদ ও নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বুধবার শুনানীর দিন ধার্য করে আসামীদেরকে কারাগারে পঠিয়ে দেন আদালত।