ফুলতলা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মুজিব শতবর্ষে নতুন ঘরে স্থায়ী ঠিকানা পাচ্ছেন ৪০টি ভূমি ও গৃহহীন হৃতদরিদ্র পরিবার। এ সব পরিবারে প্রত্যেকের জন্য নির্মান করা হচ্ছে পাকা বাড়ি। মুজিবশতবর্ষে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নিদের্শনার আলোকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প আশ্রায়ণ প্রকল্প -২ “ক” শ্রেণি এর আওতায় প্রথম ধাপে নির্মান করা হচ্ছে ৪০টি ঘর।
জানাযায়, প্রতিটি ঘরের অনুকূলে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে আটরা গিলাতলা ইউনিয়নে ৩টি, দামোদর ইউনিয়নে ২১টি, জামিরা ইউনিয়নে ২টি এবং ৪নং ফুলতলা ইউনিয়নে ১৪টি সরকারি জায়গা নির্ধারণ করে সেখানেই নির্মান করা হচ্ছে ভূমিহীনদের জন্য উন্নতমানের এ ঘর। দুই শতক জমির উপর ২ কক্ষ বিশিষ্ট ঘর নির্মান করা হচ্ছে। এর মধ্যে থাকছে রান্না ঘর ও বাথরুম। নতুন বছরের শুরুতেই সবুজ রং এর টিনের ছাউনি পাকা ঘরে ঠিকানা হতে যাচ্ছে উপজেলার ৪০টি গৃহহীন পরিবারের। ফুলতলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির তত্ত্বাবধানে ঘর নির্মান কাজ চলছে দ্রুত গতিতে এগিয়ে।
গত দুই মাস ধরে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে জায়গা নির্ধারণ করেছেন ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুলী বিশ্বাস। ইতোমধ্যে গৃহহীনদের তালিকাও চূড়ান্ত করেছেন।
ঘর নির্মানের অগ্রগতির বিষয় জানতে চাইলে ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানান, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘর নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে, আর কিছু নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। তালিকভুক্ত ভূমিহীনদের নামে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করার জন্য আগামী ১৫ জানুযায়ীর মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার জন্য তিনি সহকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করছেন বলে জানান।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন বলেন, গুনগত মান বজায় রেখে ঘর নির্মান কাজের সার্বিক তদারকি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সুফল ভোগীদের মধ্যে ঘরগুলো হন্তান্তর করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম