প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের যশোর ব্যুরো প্রধান মিজানুর রহমান তোতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার। ২০২১ সালের ১৭ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
ব্যক্তি জীবনে পরিচ্ছন্ন এবং সাদা মনের মানুষ ছিলেন মিজানুর রহমান তোতা। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি কবিতা ও সাহিত্য চর্চা করতেন। তিনি একজন কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে মানুষের যাপিত জীবন দেখে, নদী ও প্রকৃতি দেখে তিনি কবিতা, গল্প লিখতেন।
মিজানুর রহমান তোতার জন্ম ১৯৪৭ সালে ঝিনাইদহে। যশোর থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক স্ফুলিঙ্গের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় তার হাতেখড়ি। পরে তিনি দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। দৈনিক ইনকিলাব প্রকাশের পর তিনি তাতে যোগদান করেন। আমৃত্যু তিনি ইনকিলাবেই ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দু’কন্যা ও এক ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রী রেবা রহমান দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার যশোর ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট রেবা রহমান মৃত্যুবরণ করেন।
সাংবাদিক তোতা যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, প্রেসক্লাব যশোরের সেক্রেটারি ও তিনবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৭ সাল থেকেই তার ছড়া, কবিতা, সংবাদ লেখালেখিতে প্রবেশ। ১৯৭৮ সালে দৈনিক গণকন্ঠের রিপোর্টার, সমাচারের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৭৯ সালে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৮০ সালে পিআইবির লং কোর্সের প্রশিক্ষণ, পরবর্তীতে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের নিউজ এডিটর, দৈনিক ঠিকানায় এক্সিকিউটিভ এডিটর, দৈনিক আজাদের স্টাফ রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি, সাপ্তাহিক পূর্ণিমায় খন্ডকালীন লেখালেখি, তারপর থেকেই দৈনিক ইনকিলাবে ব্যুরো প্রধান হিসেবে একটানা তিনি কাজ করছেন।
সাংবাদিকতার ওপর তার ‘মাঠ সাংবাদিকতা’ এবং আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘ক্ষতবিক্ষত বিবেক’ নামে গ্রন্থ দুটি ইতোমধ্যে সমাদৃত হয়েছে। তার অসংখ্য কবিতা দেশে-বিদেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার নির্বাচিত ৮০টি কবিতা নিয়ে ‘দিবানিশি স্বপ্নের খেলা’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ হয়েছে।
তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার বাদ আসর যশোর শহরের নূতন খয়েরতলা পারিবারিক কবরস্থানের পাশের মাদরাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই