সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন পার করেছে যশোরের চৌগাছাবাসি। ব্যস্ততম শহরে নেই কোন ব্যস্ততা, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো করছে খা খা, প্রশাসনের কঠোর কড়াকাড়িতে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে। গেল দু’টি লকডাউনের চেয়ে এবারের লকডাউন মানুষ বেশি মেনে চলছেন বলে অনেকে মনে করছেন।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেছেন সরকার। সরকার ঘোষিত সেই লকডাউন যথাযথ ভাবেই মেনে চলছেন সীমান্তবর্তী যশোরের চৌগাছা উপজেলাবাসি। লকডাউনের প্রথম দিনে (বুধবার) উপজেলা সদরে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারনের উপস্থিতি কিছুটা দেখা গেলেও দ্বিতীয় দিন ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাজারে এদিন ক্রেতা বিক্রেতা কাউকেই দেখা যায়নি। ব্যাংক ও জরুরী সেবা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বাজারে ঘুরা ফেরা করেছেন আর সাধারন মানুষ ছিল বাজার ছাড়া।
বুধবার সকালে কিছু কিছু ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন। তবে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড.এম মোস্তানিছুর রহমান, নির্বাহী অফিসার এনামুল হক, পৌর মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল, থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সবুজসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বাজার বন্ধের জন্য গুরুরত্বপূর্ণ সড়কে যান এবং ব্যবসায়ী ক্রেতা সাধারনের সাথে কথা বলেন।
এর কিছুক্ষন পর সারা বাজারই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাজারে যে সব মানুষ এসেছেন তাদের পুলিশের ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে। পুলিশ বলছে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন সকলকেই মানতে হবে। আর আমরা সেই কাজটি করে যাচ্ছি। বুধবারের পাশাপাশি বৃহস্পতিবারও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই