যশোরে আসন্ন বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে ভবারবেড় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রিজ প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মুসলিম আলীর সমর্থকদের উপর হামলা, প্রচার মাইক ভাংচুরের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন প্রার্থী মুসলিম আলী।
শুক্রবার (০৭ জুলাই) বিকালে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন সন্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাউন্সিলর প্রার্থী মুসলিম আলী।
মুসলিম আলী অভিযোগ করে বলেন, ডালিম প্রতিকের প্রার্থী ইনামুল হক জুয়েল তার সমর্থকদের ফোন করে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে, এবং আমি জানতে পেরেছি সে অর্থ প্রলোভন দেখিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, রবিবার বিকেলে একই ওয়ার্ডের ডালিম প্রতিকের কাউন্সিল প্রার্থী জুয়েল হোসেনের সর্মথকরা এলকায় ভোট চাইতে গিয়ে জোরপূর্বক ভোটারের নাম, মোবাইল নম্বর এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি সংগ্রহ করছিল। এসময় ব্রীজ মার্কার কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মুসলিম আলীর সর্মথকরা তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং সেই দৃশ্য মুঠোফোন ভিডিও ধারণ করে। এরপর উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে ডালিম মার্কার সর্মথকরা ব্রীজ মার্কার প্রার্থী মুসলিম আলীসহ তার সর্মথকদের উপর হামলা, মারধর ও প্রচার মাইক ভাংচুর করে।
ব্রীজ প্রতিক মার্কার প্রার্থী মুসলিম আলী বলেন, জুয়েল ও তার সর্মথকেরা ভোটারদের কাছ থেকে ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ধর্মীয়গ্রন্থ আল-কুরআন ছুয়ে শপথ করাচ্ছে। আমি ঘটনাস্থানে গিয়ে জুয়েল সর্মথকদের এই ঘটনা মোবাইলে ধারন করার সময় ডালিম প্রতিক মার্কার সমর্থক ভবেরবেড় গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শাকিল, জনি, জাহিদ ও মাহবুর আমার সর্মথকের উপর হামলা করে এবং দুই-তিন জনকে আহত করে।এ সময় আমার প্রচার মাইক ও ভাংচুর করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূইয়া ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি জেনে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছি এবং দুই প্রার্থীকে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করার জন্য আহবান করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
শার্শা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ জানান, ঘটনাটি আমাদের জানালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ ব্যাপারে এখনও কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি।
খুলনা গেজেট/এসজেড