খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলামকে প্রধান করে একই পরিষদের সদস্য মীর আনোয়ার এলাহী ও দু’চৌকিদার হাবিবুর রহমান ও আনু মোড়লসহ ৯ জনকে আসামী করে বুধবার (২৭ জুলাই) পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজীর মামলা দাখিল হয়েছে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আনোয়ারুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে থানা অফিসার ইনচার্জকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় অপর আসামীরা হলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের সহোদর শেখ রেজাউল ইসলাম, হৃদয় শেখ, শরিফুল ইসলাম গাজী, ইমরান শেখ ও প্রভাষ বিশ্বাস।
মামলার বাদী গদাইপুরের হিতামপুর গ্রামের বিনোদ দাসের ছেলে অসীত কুমার দাস তার লিখিত এজাহারে বলেন, একই এলাকার প্রভাষ বিশ্বাসের কাছে পাওনা ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার বিপরীতে তার প্রদেয় সোনালী ব্যাংক পাইকগাছা শাখার হিসাব নং-০০২০৬২৫৯২ এর গড/১০ নং ১৮৮৫৫৪৯ চেকটি ডিজ-অনারপূর্বক পাইকগাছা আদালতে সিআর-৭২০/২০ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে জেলা দায়রা জর্জ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
ঐ মামলায় নিজেকে রক্ষা করতে প্রভাষ অসীতকে আসামী করে গদাইপুর ইউপিতে অভিযোগ দায়ের করেন। যার নং-১১৭/২২। এর প্রেক্ষিতে নোটিশ পেয়ে অসীত দাস ১৯ জুলাই ধার্য্য দিনে শুনানীকালে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম, তার সহোদর, এক ইউপি সদস্য ও ২ চৌকিদারসহ অন্যান্যরা অসীতসহ তার সাথে থাকা কয়েকজনকে ধরে টেনে-হেঁচড়ে পরিষদের গোডাউনে বেঁধে রেখে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় তারা অসীতের কাছে চেক-ষ্ট্যাম্প দাবি করা হয়। একপর্যায়ে তারা অসীতকে মোটর সাইকেলযোগে তার বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ঘরের আলমারী থেকে রুপালী ব্যাংকের ৫ টি পাতাসহ চেকবই, প্রভাষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কাগজ-পত্রাদিসহ বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে ফের ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়া হয়। এসময় তারা অসীতের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে সৃষ্ট সমস্যা মিটে যাবে বলে জানায়। অন্যথায় তাদের বড় সমস্যা হবে বলে অসীতসহ সাথে সকলকে হুমকি দেওয়া হয়। এসময় তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চেকের পাতাগুলির প্রতিটিতে অসীতের ৩ টি করে স্বাক্ষর ও ১০০ টাকা মূল্যের ৯টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়। এরপর স্বাক্ষরিত চেক ও স্ট্যাম্পগুলি পরিষদের কর্মকর্তা বিথিকা বিশ্বাসের নিকট রেখে দেয় তারা।
খুৃলনা গেজেট/ টি আই