জাল ভিসা প্রদানের ঘটনায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চাকলা গ্রামের নুরুজ্জামান ওরফে নজ্জি গাজী।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামি মিল্লু গাজীর প্রতি সমন জারি করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি মিল্লুর গাজী মামলার বাদী নুরুজ্জামানের পূর্ব পরিচিত। সেই সুবাদে মিল্লুর গাজী মাঝে মধ্যে নুরুজ্জামানের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে নুরুজ্জামানের ভাইপো রুবেল হাসানকে ইউক্রেন হয়ে পর্তুগালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।
বলা হয়, এ জন্য নয় লাখ টাকা দিতে হবে। তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভাইপোকে পর্তুগালে পাঠানোর জন্য নুরুজ্জামান ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েক দফায় মোট পাঁচ লাখ টাকা দেন মিল্লুর গাজীকে। এরপর ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে মিল্লুর গাজী লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন, এক মাসের মধ্যে রুবেল হাসানকে পর্তুগালে নিয়ে যাবেন। এক পর্যায়ে মিল্লুর গাজী, রুবেলের পাসপোর্ট নিয়ে জাল ভিসা লাগান। পরে পাসপোর্ট নিয়ে রুবেল হাসান ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। তখন সেখানকার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, রুবেল হাসানের পাসপোর্টে থাকা ভিসা জাল। ফলে অসহায় রুবেল হাসান বাড়ি ফিরে আসেন।
এ বিষয়ে মিল্লুর গাজীকে জানালে তিনি জাল ভিসার কথা স্বীকার করে পর্তুগালে যাওয়ার জন্য তাকে দেয়া পাঁচ লাখ টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে রুবেল হাসানের চাচা নুরুজ্জামান এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট / আ হ আ