নাগিন ড্যান্স থেকে টাইমড আউট, সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে উত্তাপ ছড়ানো এক সূচি বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা। দুই দলের ম্যাচ মানেই বাড়তি এক উন্মাদনা। এক সময়ের একপেশে সূচি ছিল দুই দলের। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম জয় পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। এরপর থেকে মাঝেমাঝেই জয় এসেছে বাংলাদেশের ভাগ্যে।
যদিও ২০১৮ সালের পর থেকে পরিস্থিতিতে আসে আমূল পরিবর্তন। দুই দলই সাম্প্রতিক সময়ে লড়েছে সমানে সমান। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয় লঙ্কানদের ছিটকে ফেলেছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড় থেকে। যতই দিন গড়িয়েছে এই দুই দলের লড়াইয়ে উত্তাপ ততই মাত্রা ছাড়িয়েছে।
চটগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় আবারও দুই দল মুখোমুখি হবে একে অন্যের। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ এটি। এই ম্যাচের আগে ফর্ম নিয়ে বাংলাদেশের চিন্তা থাকলেও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন বাংলাদেশ দলের সমর্থকরা।
এখন পর্যন্ত দুই দল একে অন্যের বিপক্ষে খেলেছে ৫৪ বার। তাতে ১০ জয় বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৪২ ম্যাচে। আর বাকি ২ ম্যাচে আসেনি কোনো ফল। দেশের মাটিতে রেকর্ড খানিকটা ভাল টাইগারদের জন্য। ২০ ম্যাচের মধ্যে ৬ ম্যাচে জয় এসেছে। ১৪ ম্যাচ জিতেছে লঙ্কানরা। দুই দলের সবশেষ দেখা ছিল বিশ্বকাপে। যেখানে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে জয় পায় টাইগাররা।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার আগের ৯টি সিরিজের মাত্র একটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ সিরিজেই এসেছিল সেই সাফল্য। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসের পারদ আজ উঁচু থাকবে বাংলাদেশের জন্য। দুই দলের মধ্যেকার ৯টি সিরিজের ২টি হয়েছে ড্র। বাকি ৬ সিরিজের ট্রফি গিয়েছে লঙ্কানদের শো-কেসে।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস শ্রীলঙ্কার। ২০০৮ এশিয়া কাপে লাহোরে সনাৎ জয়াসুরিয়া ও কুমার সাঙ্গাকারার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে স্কোরবোর্ডে ৩৫৭ রান জমা করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান খুব একটা পিছিয়ে নেই। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ করেছিল ৩২৪।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ স্কোর ১৬১। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলারদের বেধরক পিটিয়ে ম্যারাথন এই ইনিংস খেলেন তিলকারত্নে দিলশান। বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মুশফিকুর রহিমের। ২০১৮ সালে দুবাইয়ে এশিয়া কাপে ১৪৪ রান করেছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
দুই দলের মুখোমুখি সূচিতে সবচেয়ে বেশি রান কুমার সাঙ্গাকারার। ৩১ ম্যাচে ১ হাজার ২০৬ রান করেছেন ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। ১ হাজার ৭২ রান নিয়ে দুইয়ে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমের।
খুলনা গেজেট/এনএম