খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে কারখানায় আগুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫

নড়াইলে সুবাস বোসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

লোহাগড়া প্রতিনিধি

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টম্বর) দুপুর ১২টায় তিনি শহরের আলাদতপুরের নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ শরিফুল ইসলাম, আওড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ আজিম বেগসহ আরও অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু। তিনি বলেন, নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনি। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ি গত সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রতিক বরাদ্দের দিন ধার্য্য ছিল। নির্বাচনী এলাকার বাইরে থাকায় ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে আমার অনুপস্থিতিতে আমার সমর্থনকারী, প্রস্তাবকারীসহ কয়েকজন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক নড়াইল এর সম্মেলন কক্ষে প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবহিত হই যে, প্রতীক বরাদ্দে অনুষ্ঠানে নির্বাচনী কাজে দায়িত্বে থাকা সকল কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার মানসে আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস তার সমর্থিত লোকজন দ্বারা আমার সমর্থনকারী ও প্রস্তাবকসহ অন্যান্য লোকজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করে এবং সরকারি সম্পদ নষ্ট করে।

যেটা ডিসি অফিসের সম্মেলন কক্ষে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে এবং ঘটনাস্থালে সাংবাদিকদের ভিডিও ফুটেজ এবং প্রকাশিত সংবাদপত্রে এর সত্যতা প্রমান করে। ঘটনাস্থলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোসের সন্ত্রাসী লোকজন আমার লোকজনকে হত্যার হুমকি ও ভয়ভিতি প্রদর্শন করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে ডিসি অফিসের হলরুম থেকে আমার সমর্থনকারি, প্রস্তাবকারীসহ সাথে থাকা অন্যান্য লোকজন শহর ত্যাগ করতে পুলিশের সহায়তায় নেয়। যা নির্বাচন বিধিমালার ধারা-১৮ এর (ক) এবং (গ) লঙ্ঘন করেছেন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোস।

সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু আরও বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচির প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘লাল পুকুর বিউটিফিকেশন’ প্রকল্প কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস যোগদান করেন যা নির্বাচন বিধিমালার ২৩-ধারা লঙ্ঘন করেছেন তিনি।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস উল্লিখিত কর্মকান্ড সংঘটিত করায় জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার ধারা-১৮ এর (ক) এবং (গ) ও ২৩ ধারা সমূহ লঙ্ঘন করেছেন। আমি জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার ধারা-৩১ মোতাবেক তার বিচারের দাবী জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইবিএম পদ্ধতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করায় নির্বাচন কমিশন প্রশংসিত হয়েছে। আগামি ১৭ অক্টোবর নির্বাচন সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করার দাবী জানান স্বতন্ত্র এ প্রার্থী।

খুলনা গেজেট/এসজেড




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!