নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তা প্রকাশ করা হয়নি। জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে কারা জড়িত বা কাদের নাম এসেছে সেটা বলার সুযোগ নেই; যেহেতু মামলা চলছে সেজন্য কারও নাম বলা সম্ভব নয়।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত অপর একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শনিবার জমা দেওয়ার কথা থাকলেও বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তদন্ত কমিটির মিটিং চলছিল।
প্রসঙ্গত, মির্জাপুর কলেজের ঘটনায় গত রোববার (২৬ জুন) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেৃতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুটির তদন্ত প্রতিবেদন শনিবার জমা দেওয়ার কথা ছিল।
গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রাহুল দেব রায় ফেসবুকে মহানবী (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে এক পোস্ট দেন। এছাড়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ভারতের ক্ষমতাসীন দলের সাবেক নেত্রী নূপুর শর্মাকে সাপোর্ট করায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় রাহুলকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আর অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় গেপ্তার ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রোববার নড়াইল সদর আমলী আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।