সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ইভিএম পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জেএসডি নেতৃবৃন্দ। একই সাথে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন তারা। শনিবার খালিশপুর জিএফই হোটেলে থানা শাখার আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ এ দাবি তোলেন।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করার অধিকার দিয়েছে সংবিধান। এ সরকারের অধীনে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিরাপদ নয়। সরকারের পতনের লক্ষে বৃহত্তর ঐক্যের এখনই সময়।
প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অবসান, পাচার হয়ে যাওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা, নির্বাচন কমিশন বাতিল করে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করেছেন তারা। এছাড়া সেখানে ডিজেলের মূল্য কমানোর পাশাপাশি বাস ভাড়া, লঞ্চ ভাড়া কমানোসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করে মানুষ বাচাতে রেশনিং ব্যবস্থার দাবি তোলেন।
প্রতিনিধি সভার সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সংগঠক মো: মনিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন, দালের কেন্দ্রীয় যগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: লোকমান হাকিম। বক্তৃতা করেন, সংগঠনের নগর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল খালেক, নগর নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব মোতাহার রহমান বাবু, জেলা জেএসডির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যগ্ম আহবায়ক স, ম রেজাউল করিম, গণ সংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা আহবায়ক মুনির চৌধুরী সোহেল, জেলা জেএসডির যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলাম বাবলু, স্থানীয় সংগঠক মো: বাহার, মো: আবু তালেব, জিএম সাইমুন ইসলাম, হকার্স ইউনিয়নের মো: জামাল মুন্সি।
সভায় মো: মনিরুল ইসলামকে সভাপতি ও জিএম সাইমুন ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট খালিশপুর থানা কমিটি গঠন করা হয়।