খুলনা মহানগীর মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে অপদ্রব্য পুশকৃত (জেলিমিশ্রিত) ৯০০ কেজি চিংড়ি জব্দ করেছে র্যাব। এসময় ১৫ জনকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনাঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। খুলনা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষনীয় করছে।
তারই ধারাবাহিকতাই বুধবার দিবাগত রাতে র্যাব-৬, সদর কোম্পানি, খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন রূপসা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎগুলোতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি রাত সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত রূপসার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে চিংড়িতে অপদ্রব্য (জেলী) পুশ করার দায়ে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ এর ৩৩ ধারায় মেসার্স রাকিব ফিসের ম্যানেজার ইব্রাহিম শেখকে ১ লাখ টাকা, তার কর্মচারী ইমন মোল্লাকে ৫ হাজার টাকা, রবিউল ইসলাম জুয়েল, রাসেল ব্যাপারী, নাজিম সরদার, মোঃ মিরাজ, মোঃ আল আমিন ইসলাম, মোঃ রিপন হাওলাদার, মোঃ নাজমুল, বাবু হোসেন, মোঃ হাফিজুর রহমান, রনি মৃধা, মোঃ আলিফ, হানিফ হাওলাদার ও মোস্তাকিম হাওলাদারদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় ওই মৎস্য আড়ৎ থেকে অপদ্রব্য (জেলী) পুশকৃত ৯০০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়।
জব্দকরা অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে এবং জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষনিক প্রদান করায় বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।